3 best বাংলা মোটিভেশনাল স্টোরি

3 best বাংলা মোটিভেশনাল স্টোরি : আমাদের আশেপাশে অজস্র গল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যা থেকে আমরা জীবনে সফল হবার , ভালো মানুষ হবার অনুপ্রেরণা পাই। সেই গল্পগুলো আমরা পড়ি , আমরা জানি, তা থেকে শিক্ষাও নিই । কিন্তু সেগুলো বেশীদিন মেনে চলা হয়ে ওঠে না। তাই বার বার গল্পগুলো পড়তে হয়। আসুন নিচের  3 টি best বাংলা মোটিভেশনাল স্টোরি  থেকে শিক্ষা নেওয়া যাক … … … 

 

3 best বাংলা মোটিভেশনাল স্টোরি
3 best বাংলা মোটিভেশনাল স্টোরি

 

 

3 best বাংলা মোটিভেশনাল স্টোরি : (1) অপরের উন্নতি চাইলে তবেই নিজের উন্নতি হয়ঃ

 

এক ভিখারী প্রতিদিন দুপুরে এক রেস্টুরেন্টে আসে আর ভিড়ের মধ্যে থেকে খাবার খেয়ে পয়সা না দিয়েই লুকিয়ে চলে যায়। 

এক ব্যক্তি কিছুদিন এটা লক্ষ করার পর রেস্টুরেন্টের মালিককে বলল , ” আপনি কি লক্ষ করেননা, যে, ঐ ভিখারী প্রতিদিন আপনার রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে ভিড়ের মধ্যে পয়সা না দিয়েই চলে যায় ?” 

 

দোকানদার বললেন , ” হ্যা আমি জানি, কিন্তু কিছু বলি না। কারন, প্রতিদিন ঐ ভিখারী দূর থেকে প্রার্থনা করে, যেন আমার দোকানে প্রচুর ভিড় হয়, যাতে ওর পয়সা না দিয়ে চলে যেতে সুবিধা হয়। ওর প্রার্থনার জন্যই দোকানে এতো ভিড় হয়। তাই আমি ওকে কিছু বলি না।” 

 

শিক্ষা: এই গল্প থেকে দুটো শিক্ষা পাওয়া যায় —- (1) ভিখারী নিজে দুটো খাবার পাওয়ার আশায় দোকানদারের উন্নতি চেয়েছে । অর্থাৎ , আপনি যদি অপরের উন্নতি চান , তবেই নিজের উন্নতি সম্ভব।।

(2) দোকানদার ভিখারীর চালাকি ক্ষমা করে দিয়েছে, কারন , তার বিশ্বাস ছিল যে ভিখারীর জন্যই তার উন্নতি হয়েছে। কাজেই, আপনার উন্নতিতে কেউ যদি এততুকু সাহায্য করে, তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ ।।

 

3 best বাংলা মোটিভেশনাল স্টোরি : (2) সঠিক পথে চলতে গেলে ভগবানের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতে হয়ঃ

 

একদিন সকালে আমি ঘরের দরজা খুলে দেখলাম এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে। জিজ্ঞেস করলাম , ” কে আপনি ?”

লোকটি বলল , ” আরে!  রোজ আমাকে ডাকছিস ! আজ আমি তোর কাছে এলাম, আর তুই চিনতে পারছিস না!” 

আমি আমতা আমতা করে বললাম, ” তবে কি আপনি ভগবান?” 

“হ্যা আমি ভগবান। আমাকে এত করে ডাকিস ! তাই স্থির করেছি,  আজ সারাদিন তোর সঙ্গে থাকব।” 

 

এমন সময় মা ডাক দিল , ” কিরে , একা একা কার সাথে বকবক করছিস? আয় খাবি আয়।”

খাবার টেবিলে বসে রাগ হল। মাকে বললাম — কি রোজ রোজ একই খাবার রান্না কর? কিন্তু তারপরই নিজেকে সামলে নিলাম। ভাবলাম , এই রে ! আমার পাশেই ভগবান বসে আছেন, আর আমি মাকে এ সব কি বলছি!   

এরপর অফিস যাবার জন্য গাড়িতে স্টার্ট দিলাম। পাশে ভগবান থাকায় ট্রাফিক আইন ভাঙতে ভয় হল। আইন মেনে গাড়ি চালালাম । অফিসে কোন ঘুষ না নিয়েই ফাইল পত্রে সই করলাম। 

 

রাতে বাড়ি ফিরে ঘুমাতে গেলাম। দারুন ঘুম হল। সকালে মাএর ডাকে ঘুম ভাঙল। দেখলাম পাশে ভগবান নেই। ভাবলাম , তাহলে স্বপ্ন দেখছিলাম । সেদিন থেকে আমার জীবনের সমস্ত বদ অভ্যাস ত্যাগ করলাম।

 

শিক্ষাঃ আমরা যদি ভাবি ভগবান সব সময় আমাদের পাশেই আছেন, আমাদের সমস্ত কাজকর্ম দেখছেন, তবে আমরা কখনই পাপ কাজ করতে সাহস পাবো না। যদি পাপ কাজ করতে না চান , তবে ভগবানের অস্তিত্বে বিশ্বাস করুন।। 

 

3 best বাংলা মোটিভেশনাল স্টোরি : (3) প্রকৃত সফল হতে হলে প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করতে হয়ঃ

 

একবার এক অল্পবয়সি ছেলে স্কুলের ছুটিতে তার দাদুর কাছে বেড়াতে গেল। সে দাদুকে জিজ্ঞেস করল, ” দাদু, জীবনে সফল হতে হলে আমাদের কি করা উচিৎ ?” 

দাদু কোন উত্তর দিলেন না। তিনি নার্সারি থেকে দুটো চারাগাছ কিনে আনলেন। একটা বাড়ির মধ্যে টবের মধ্যে বসালেন, আর একটা বাড়ির বাইরে এক ফাঁকা জমিতে পুঁতে দিলেন। 

এবার তিনি নাতিকে বললেন ,” আচ্ছা দাদুভাই, বলো দেখি, এই দুটো গাছের মধ্যে কোনটা বেশি বৃদ্ধি পাবে?” 

অনেক ভেবে নাতি জবাব দিল, “ভিতরের গাছটাই ভাল হবে। কারন, এই গাছটি অনেক সেবা যত্ন পাবে। এছাড়া,  কোন পশু- পাখী গাছটিকে খেয়ে ফেলতে পারবে না।”

দাদু বললেন —- বেশ তাহলে কিছুদিন পর দেখা যাক কি হয়।

 

এরপর চার বছর পর নাতি আবার দাদুর কাছে ঘুরতে এলো । নাতি দাদুকে বলল, ” দাদু, চার বছর আগে আমি তোমার কাছে জীবনে সফল হবার উপায় জানতে চেয়েছিলাম , তুমি কিন্তু কোন উত্তর দাও নি। আজ বলতে হবে।” 

দাদু বললেন , ” মনে আছে দাদুভাই, আমি দুটো চারা লাগিয়েছিলাম! চলো , দেখা যাক , সে দুটোর কি অবস্থা!” 

 

প্রথমে টবের গাছের কাছে গিয়ে দেখা গেল টবের মধ্যে গাছটি খুব সুন্দরভাবে বেড়ে উঠেছে । সুন্দর ফুল ফুটেছে । গাছটি দারুন সতেজ হয়েছে। 

এবার ঘরের বাইরে এসে দেখা গেল , বাইরের গাছটি তার ডালপালা বহুদূর প্রসারিত করেছে। তার ডালে পাখীরা বাসা বেঁধেছে ।  মৌমাছিরা ফুলে এসে বসছে। গাছের ছাওয়ায় পথিক এসে বিশ্রাম নিচ্ছে। 

 

দাদুভাই, কি বুঝলে? 

নাতি বলল, ” দাদু, আমি বুঝতে পেরেছি। টবে যে গাছটা রোপণ করা হয়েছিল, সেটার মূল মাটির খুব বেশি গভীরে প্রবেশ করতে পারেনি, তাই তার মাথাও খুব উঁচুতে উঠতে পারেনি , বা ডালপালা বেশিদূর প্রসারিত হতে পারেনি। টবের গাছটা প্রতিদিন সকাল – বিকাল সার ও জল পেয়েছে ঠিকই , কিন্তু বাইরের মুক্ত বাতাস , সূর্যের তাপ সে পায়নি। তাকে বাইরের প্রতিকূল পরিস্থিতির  যেমন ঝড় , বৃষ্টি  ইত্যাদির মোকাবিলা করতে হয়নি। তাই সে শক্ত সামর্থ্য গাছে পরিনত হতে পারেনি। সে ঘরের মধ্যে বন্দী থাকায় তার ডালে কোন পাখি বাসা বাঁধতে পারেনি, তার ফুলে কোন মৌমাছি মধু খেতে আসেনি।”

সে আরও বলল, ” দাদু আমি বুঝতে পেরেছি যে, সুখ স্বাচ্ছন্দের মধ্যে থেকেও জীবনে সফল হওয়া যায় । তবে  প্রকৃত সফল হতে হলে সুখের জীবন ত্যাগ করে, প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে, আর গাছের শিকড়ের মত ভিত শক্ত করতে হবে। আর যেদিন আমার ছত্রছায়ায় এসে অনেক মানুষ উপকৃত হবে, সেদিনই আমি প্রকৃত সফল হব।”

 

শিক্ষাঃ জীবনে সফল হবার অনুকূল পরিবেশ যদি আমি পাই, তবে আমি তো সফল হব’ই। তবে  সফলতার ব্যাপ্তি বহুবিস্তৃত হওয়া তখনই সম্ভব, যখন আমি সমস্ত প্রতিকূলতার মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।। 

 

আরও পড়ুন … … … 10 টি best শিক্ষামূলক গল্প

আরও পড়ুন … … …3 Best Motivational short story শিক্ষামূলক ছোট গল্পঃ 

Leave a Comment

Solverwp- WordPress Theme and Plugin