1 টি best বাংলা motivational story : জীবনে অসম্ভব বলে কিছুই নেই, সব কিছুই সম্ভব। আপাতদৃষ্টিতে যে কাজটা একেবারেই অসম্ভব বলে মনে হয় , যেটা কোনভাবেই, কোনদিনই করা সম্ভব নয় বলে মনে হয় , সেই কাজটাও করা সম্ভব। তবে হয়তো বা একার দ্বারা সম্ভব নয়। সবাই সঙ্গ দিলে আর মনে অদম্য জেদ থাকলে সবই সম্ভব। নীচের গল্পটা সত্যিই 1 টি best বাংলা motivational story। এটা একটা উপকথা থেকে নেওয়া। আসুন গল্পটা পড়া যাক … … …
best বাংলা motivational story : পরামর্শ নয় সঙ্গ চাইঃ
একবার একটা সারস পাখি তার বাচ্চাদের নিয়ে সমুদ্রের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল । হঠাৎ একটা সমুদ্রের ঢেউ এসে ঝাপটা মারল আর তাতে সারসের চারটে বাচ্চা জলে ডুবে গেল। এতে সারস খুব রেগে গেল। সে সমুদ্রের উদ্দেশ্যে বলল , তুমি এটা খুব অন্যায় কাজ করলে, এখুনি আমার বাচ্চাদের ফিরিয়ে দাও। কিন্তু সমুদ্র তার কথায় কর্ণপাত করল না। এতে সারস আরও রেগে গেল এবং বলল, তুমি এখুনি আমার বাচ্চাদের ফিরত না দিলে আমি সমুদ্রের সব জল খেয়ে তোমায় শুকিয়ে দিয়ে বাচ্চাদের ফিরত নেব, এই বলে সে জল খেতে শুরু করল। সমুদ্র সারসের কথা শুনে হাসতে লাগল, আর বলল, তুমি, এতটুকু একটা পুচকে পাখি, আমার সব জল খেয়ে নেবে! ঠিক আছে খাও, আমি তোমার বাচ্চাদের ফিরত দিচ্ছি না।
ঠিক সেই সময় সমুদ্রের উপর দিয়ে একদল পানকৌড়ি পাখি উড়ে যাচ্ছিল । তারা সারসকে জিজ্ঞেস করল, কি ব্যাপার ? কি করছ ওখানে ? এত রাগই বা কিসের ? সারস বলল, সমুদ্র আমার চার বাচ্চাকে ধরে রেখেছে , তাই আমি সমুদ্রের জল খাচ্ছি । সমুদ্র শুকিয়ে গেলে বাচ্চাদের ফিরিয়ে নেব। এই কথা শুনে পানকৌড়ির দল হাসতে হাসতে বলল, তুমি সমুদ্রের সব জল খেয়ে শুকিয়ে দিতে পারবে? জেদ ছাড় , ফিরে এসো, তুমি আর তোমার বাচ্চাদের ফিরত পাবে না। সারস বলল, আমি তোমাদের পরামর্শ শুনতে চাই না। যদি তোমাদের মনে হয় সমুদ্র ঠিক কাজ করেনি, তো আমার সঙ্গে আসো , সবাই মিলে সমুদ্রকে শুকিয়ে দিই। এই কথা শুনে পানকৌড়ির দল সমুদ্রের উপর বসে জল খেতে শুরু করল।
উপর দিয়ে একদল পরিযায়ী পাখি উড়ে যাচ্ছিল। তারা উপর থেকে নেমে এসে পানকৌড়ির দলকে জল খাবার কারণ জিজ্ঞেস করল। পানকৌড়ির দল তাদের জল খাবার কারণ জানালো । উত্তর শুনে পরিযায়ী পাখির দল হাসতে থাকল। তারা বলল, “সমুদ্রের জল খেয়ে শেষ করে ফেলা কোনভাবেই সম্ভব নয়। সময় নষ্ট করো না, চলে এসো।” পানকৌড়ির দল বলল, আমরা তোমাদের পরামর্শ চাই না । যদি তোমরা মনে করো যে, সমুদ্র ঠিক কাজ করেনি, তো আমাদের সঙ্গ দাও। এই কথা শুনে পরিযায়ী পাখির দল লজ্জা পেল। তারাও জলে বসে জল খেতে শুরু করল।
কিছুক্ষণ পর দেখা গেল গোটা সমুদ্র পাখিতে ঢেকে গেছে এবং সবাই জল খেতে ব্যস্ত। এমন সময় পক্ষীরাজ গরুড় সেই পথ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলেন । তিনি পাখিদের জিজ্ঞেস করলেন , কি ব্যাপার, তোমরা সবাই মিলে এখানে কি করছ ? পাখিরা জবাব দিল , সারসের চার বাচ্চাকে সমুদ্র ধরে রেখেছে। আমরা সমুদ্রের সব জল খেয়ে নেব এবং সারসের বাচ্চাদের ফেরাব। গরুড় বললেন, মূর্খের মতো কাজ করো না। চলে এসো, আমি দেখছি কিভাবে সমুদ্রের কাছ থেকে সারসের বাচ্চাদের ফেরানো যায় । এই কথা শুনে পাখির দল বলল, উঁহু , পরামর্শ নয়, যদি সম্ভব হয় তো আমাদের সঙ্গ দিন।
গরুড় বললেন, ঠিক আছে , আমাকে একটু সময় দাও, আমি প্রভু বিষ্ণুর কাছ থেকে কয়েক ঘণ্টার ছুটি নিয়ে আসি। এই বলে পক্ষীরাজ বিষ্ণুর কাছে ছুটি চাইতে গেলেন। ছুটি নেওয়ার কারণ শুনে ভগবান বিষ্ণু হাসতে থাকলেন । বললেন, ছুটি নিয়ে লাভ নেই, তোমার বন্ধুদের ফিরে আসতে বল, আমি দেখছি কি করা যায় । গরুড় বললেন, প্রভু, পরামর্শ নয়, যদি মনে হয় সমুদ্র ভুল করেছে, তবে আমাদের সঙ্গ দিন। এটা শুনে ভগবান বিষ্ণু আর কিছু বলতে পারলেন না। তিনি গরুড়কে বললেন , ঠিক আছে, চলো তাহলে যাওয়া যাক। এই বলে তিনি গরুড়ের পিঠে চেপে বসলেন।
এতক্ষন সমুদ্র হাসতে হাসতে ব্যাপারটা বেশ উপভোগ করছিল । কিন্তু হঠাৎ গরুড়ের পিঠে চেপে ভগবান বিষ্ণুকে আসতে দেখে সে খুব ভয় পেয়ে গেল। সে ভাবল, এবার বুঝি বিষ্ণু তার প্রান সংহার করবে। সে ভয় পেয়ে সারসের কাছে গিয়ে বলল, সারস ভাই , আমাকে ক্ষমা করে দাও, আমি এখুনি তোমার চার বাচ্চাকে ফেরত দিচ্ছি । আর কথা দিচ্ছি , আর কক্ষনো এই কাজ করবো না। এই বলে সে সারসের বাচ্চাদের ফিরিয়ে দিল।
শিক্ষাঃ best বাংলা motivational story :
অসম্ভব বলে কিছুই নেই। যদি মনে অদম্য জেদ থাকে, আর যদি সঠিক পথে চলা যায় , তবে সবাই মিলে অসম্ভবকে সম্ভব করা সম্ভব।
আরও পড়ুন … … ... প্রকৃতি থেকে শিক্ষা : 1 টি অনুপ্রেরণার গল্প
আরও পড়ুন … … … 3 Best Motivational short story শিক্ষামূলক ছোট গল্পঃ
আরও পড়ুন … … … 10 best Bengali motivational speeches শিক্ষামূলক উক্তি